কেওক্রাডং ট্রেকিং
(১ম অংশ )
মাথায় তেমন কোন কিছু কাজ করতে ছিল না। নিজেকে কি বলে সাত্বনা দিবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। অনেকটা জিদ করেই এখানে আসা। কিন্তু একি দেখছি আমি। মনের কোনে এলোমেলা কিছু দোলাচলের মাঝেই খুব কষ্ট করে সকালের নাস্তাটা সেরে নিলাম বাস স্ট্যান্ডের সাথে অবস্হিত হোটেল থেকে। কাকে যে জিজ্ঞাসা করবো ভেবে উঠতে পারছিলাম না। এক জনকে জিজ্ঞাসা করতেই সে এক চান্দের গাড়ির ড্রাইভারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। তার কথাবার্তায় যা বুঝলাম তা হল ২৫০০ টাকার বিনিময়ে সে আমাকে রুমায় নামিয়ে দিয়ে আসবে শুধু। এরপর বাকিটা পথ তার পরিচিত এক গাইডের সাথে যেতে হবে। প্রস্তাবটা রীতিমত আমাকে ভরকে দিয়েছিল। কি প্ল্যান করলাম আর কি হচ্ছে এসব। মনটা বিষন্নতায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ল কিছু সময়ের মধ্যেই। সবকিছু যেন কেমন অন্ধকার অন্ধকার লাগা শুরু করল নির্মল বাতাসে ভরপুর সকালটার মাঝে। চোখে মুখে নেমে এল এক হতাশার চাদর শীতের সকালটাতে। (পরে কি হল আসছি সে কথায়, কিছুক্ষন পরেই )
অনেকদিন ধরেই ভাবতেছি কোথায় যাওয়া যায়। কিন্তু যাবোটা কোথায় ? কয়েকদিন ধরে সেটাই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ওদিকে পারিবারিক ব্যস্ততার কারনে ঘুরাঘুরিটা যেন জমে গেছে হিম শীতল বরফের ন্যায়। বরফের আকারটা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। যাক সে কথা। অবশেষে ধরা দিল সেই সন্ধিক্ষন। ব্যাগের মধ্যে কি কি নিবো না নিবো , সেটা তখন পর্যন্ত মাথার মধ্যে ছিল না। শুধু জানতাম এইটাই সূবর্ন্য সুযোগ। স্বপ্নের “কেওক্রাডং (Keokradong) ” এ যাওয়া । যেটি কিনা পাহাড়ী রাজ্য বান্দারবানে অবস্হিত। তাছাড়া টিওবিতে কয়েকটি পোস্ট দেখে যাওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেছে বহুগুনে ।
আমার যতদূর মনে আছে সময়টা ছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ। বউকে আগেই বলে রেখেছি, সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে যাবো । এরই মধ্যে বাচ্চাসহ তাকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে আসি কিছুদিনের জন্য । এই সুবাদেই প্রথমবারের মতো সুযোগ মিলল ২ দিনের জন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়ার! নিজের গন্ডির বাহিরে আরেক আমি-কে তুলে ধরার। এ যেন ঘরনা প্রকৃতির আমিত্বটাকে তীব্র চ্যালেন্ঞ্জের মুখে ছুঁড়ে ফেলার এক অকৃত্রিম উন্মাদনা।
কোন রকমের প্রি প্ল্যান ছাড়াই বুথ থেকে হাজার পাঁচেক টাকা তুলেই উঠে পড়ি ঢাকাগামী কোন একটি বাসে। সামনে রয়েছে আরও কয়েকটি চ্যালেন্ঞ্জ। জানি না সবগুলো বাধা উপেক্ষা করে এগুতে পারবো কি না। রাত্র তখন ৮ টা কি ৯ টা বাজবে। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। কোন একটি এক্সিড্যান্টের কারনে দু পাশের রাস্তাই একেবারে ব্লক। এদিকে বুকের ভিতরটা এক অজানা আশংকা ভর করতে শুরু করে দিল। রাত্র সোয়া ১১ টায় বান্দারবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা বাসটির। একলা একটা মানুষ এতদূরে যাবো, অথচ নেই কোন ট্যুরমেট। গ্রুপ তো দূরে থাক। মনের অবস্থাটা তখন ভাষায় প্রকাশ করার মতো ছিল না।
অবশেষে কোন রকমের প্রি বুকিং ছাড়াই শ্যামেলী পরিবহনের একখানা টিকেট মিলল ৬২০ টাকার বিনিময়ে। রাত্র তখন ১১ টা বেজে ২০ মিনিট। গাড়ি ছাড়তে তখনও মিনিট দশেক বাকি। কিছু হালকা খাবার সামগ্রী কিনে বাসে উঠলাম কাউন্টারের পাশে থাকা দোকান থেকে। রাতের খাবারটা যে কোন একটা হোটেলে বসে রিলাক্সে খাবো সে ভাগ্যও আমার জুটে নি। কি আর করার। এ যেন মনের ক্ষুধা মেটাতে পেটের ক্ষুধাকে জলান্ঞ্জলি বৈ কিছু নয়। যাত্রা বিরতিতে রাতের খাবারটি খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম হালকা কিছু ফল খেয়ে। যথারীতি যাত্রা বিরতিতে থামালো বাসটি। যে যার মতো খাবার খেয়ে চলে যাচ্ছে। খুব ক্ষুধা লাগার দরুন সেকেন্ড টাইম আরেকটা পরোটা খাওয়ার ইচ্ছে হল। খেতে খেতে হঠাৎ-ই মনে হল আমি বোধ হয় খুব বেশী সময় নিয়ে ফেলেছি। তারপর আর কিছু না ভেবে দেই দৌড়। আমার বাসটাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। শ্যামলী তো আর সেখানে একটা না। ততক্ষনে এসে পড়েছে আরোও কয়েকটা বাস। আবারও অজানা আশংকায় দিকবেদিক ছুঁটতে লাগলাম। এখানে আমার ছোট একটা ভুল হয়ে গিয়েছিল। আমার দূরের যাত্রার বাস ব্যবহারে অভিজ্ঞতা খুবই কম। গাড়ির নাম্বারটা আমার জানা ছিল না। পরে অবশ্য গাড়িটাকে একটু দূরে থাকতে দেখে দৌড়ে উঠে পড়ি।
বাসটি যখন বান্দারবান শহরের খুব কাছাকাছি এসে পড়ে তখন চারপাশের একটা নির্মল বাতাস আমার নাকের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে থাকি। আধো ঘুম আধো জাগা অবস্হায় আমার বুঝতে বাকি রইল না আমি কোথায় এসে পড়েছি।
এবার আসি, গল্পের শুরুর দিককার ঘটনায়। এটাকে গল্প না বলে রোমান্ঞ্চকর এক ভ্রমন ইতিহাস বলেও ভুল হবে না। এখানে এসে এতক্ষনে হয়ত অনেকেই অনুমান করতে পেরেছেন কিভাবে একটা বলদ মার্কা ট্রাভেলারের সাহসী ট্রাভেলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে কতটা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কিন্তু গল্প কিংবা ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ২৫০০ টাকার বিনিময়ে রুমা বাজার পর্যন্ত নামায় দিয়ে আসার প্রস্তাব পাওয়ার পূর্বেই আমি একটা গ্রুপের এক সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করি। কিন্তু সে আমাকে জানালো তাদের গাড়িতে কোন সিট খালি নেই। কোন উপায়ান্তর না দেখে এক দোকানির কথায় একটা অটোতে করে ৫০ টাকার বিনিময়ে চলে যায় রুমা বাজার বাস স্ট্যান্ডে। সেখানে যাওয়ার পর আমার মনে হল হেঁটে আসলে ৫০ টাকা বেচে যেত। কারন,এটা ছিল মাত্র ১০ মিনিটের একটি হাটার পথ। একেবারে মক্কেল বনে গেলাম। যাই হোক, সেখানে দেখতে পেলাম কিছু বাস। ঘড়িতে তখন আনুমানিক সাতটা বাজে। কাউন্টারে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম বাস ছাড়বে ঠিক ৮ টায়। কি আর করার ? আমি তখন পর্যন্তও বুঝতে পারতেছিলাম না রুমাতে গিয়ে কোন গ্রুপে এড হতে পারবো কি না। কিংবা রুমা থেকে বগালেক পর্যন্ত লোকাল ভাড়াতে চান্দের গাড়ি পাওয়ার যে কথা শুনেছিলাম সেটা আদৌও সত্যি হবে কি না। একজন বাজেট ট্রাভেলার হিসেবে আমাকে তখন পর্যন্ত এই যাবতীয় হিসেব কষেই যেতে হচ্ছিল। যেটি ছিল আমার কাছে সবচেয়ে বেশি পীড়াদায়ক। গাড়ি ছাড়তে এখনো আধা ঘন্টা বাকি। একি ! এ কি দেখছি আমি। একটার পর একটা চান্দের গাড়িতে করে একেক গ্রুপ হইহুল্লর করতে করতে যাচ্ছে। কেউ কেউ তুলছে সেলফি। মনে মনে ভাবলাম বান্দারবান বাস স্ট্যান্ডে আরও কিছুক্ষন অপেক্ষা করলে হয়ত এই গ্রুপগুলোর সাথে এড হতে পারতাম। কপাল পোড়া আমার। ভাবতেছি সবাই তো গ্রুপ হয়েই রুমায় যাচ্ছে, তাহলে তাদের সাথে থাকতে পারলে ভালোই হতো। এদিকে বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষারত আমার মতোই কিছু ট্রাভেলার ভাইকে দেখে মনে বড় আশা জাগল। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের সাথে শেধে শেধে কথা আর বলা হচ্ছে না। কি ভাববে না ভাবে এই ভেবে যেন আর কথায় বলা হচ্ছিল না তাদের সাথে। বাজেট ট্রাভেলারের এরকম মুখচোড়া স্বভাব আমার জন্য অশনি সংকেত অনুমান করতে পেরে অবশেষে কথাবার্তা পাকা করেই ফেললাম। খরচ সমানভাবে ভাগ করে নেওয়া হবে এই চুক্তিতে। কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম উনারা কুড়িগ্রাম থেকে এসেছেন। আর যাবেন কেওকারাডাং এ। এক দিন আর এক রাতের জন্যই তারা মূলত যাচ্ছেন। আমি অবশ্য এক দিন আর দুই রাত থাকার প্ল্যান করেছিলাম। পরে দেখলাম উনাদের সাথে এড হলে অন্তত কেওকারাডাং না যাওয়ার দুঃচিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত করা যাবে। তাই অন্য কোন কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে গেলাম। এখানে সাধারনত সবাই গ্রুপ করেই আসেন। আমি-ই কেবল ব্যতিক্রমী একজন।
রুমা বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসটি ছেড়েছে মিনিট বিশেক হবে। রুমায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে ঘন্টা তিনেক লেগে যাবে হয়ত। বাসের যাত্রীদের বেশীর ভাগ-ই আদিবাসি সম্প্রদায়ের। দুই একজন বাঙালিকেও দেখতে পেলাম বাসের ভিতরে। তবে এই ভ্রমনে যা অনুমান করলাম তা হল, রুমা বাজার পর্যন্ত বাঙ্গালিদের আনাগোনাই বেশি। পাহাড়িরাও থাকে। তবে রুমা বাজারের পর থেকেই তাদের বেশি দেখা যায়। বাসটি সামনে যত যাচ্ছে ততই মুগ্ধ নয়নে ঘাড় ঘুরিয়ে এপাশ ওপাশ দেখছি আর ভাবছি কিভাবে তৈরি হল এই পাহাড়ি রাস্তাগুলি। কোথাও আঁকা-বাঁকা আবার কোথাও উঁচু-নিচু হয়ে চলে গেছে রুমা বাজারের পথটুকু। এক অপার্থিব সুখ বিরাজ করতে লাগল উথাল পাতালে লন্ডভন্ড মনটার মাঝে। ভাবতে ছিলাম হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বান্দারবানে চলে আসাটা কোনক্রমেই ভুল ছিল না। পাহাড়ী জনপদ আর জনজীবনের দৃশ্যগুলো অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে থেকে মনের অজানতেই নিজেকে রিওয়ার্ড দিচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল এখানে জোড় করে আসাতে খারাপ হয় নি। আমার আবার কিছুদিন কিছুদিন পরপরই কোথাও না কোথাও বের হওয়া চাই ই চাই। যান্ত্রিক কোলাহল আর ব্যস্ততা থেকে কিছুদিনের জন্য হলেও মুক্তি চাই, মুক্তি। কি যে ভালো লাগছিল যখন সাড়ি সাড়ি পাহাড়গুলো একটা আরেকটাকে আড়াল করছিল পথ এগুনোর সাথে সাথে। মাঝে মাঝে খেয়াল করছি গাড়ির ড্রাইভার কি অদ্ভুত দক্ষতায় আঁকাবাঁকা পথ মাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ হঠাৎ-ই গাড়ির জানালা দিয়ে রাস্তা থেকে সোজা পাহাড়ের নিচের দিকে তাকিয়ে কিছুটা ভয়ও পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল সৃষ্টিকর্তা-ই আমাদের নিয়ে চলছিলেন। নচেৎ এই রকম খাড়া আর উঁচু-নিঁচু পথ অতিক্রম করা আমাদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। খনিক বাদে বাদেই পাহাড়ী আদিবাসি সম্প্রদায়ের ছোট ছোট পাড়া চোখে পড়ার মত। ভাবতেই অবাক লাগে এই অসমতল পাহাড়ের বুকে তাদের পদচারনা দেখে। মুদ্ধ নয়নে দেখতে থাকি অসংখ্য পাহাড়ে ভরপুর বান্দারবান জেলার রুমা উপজেলাকে।
এক পর্যায়ে আমরা রুমা বাজারে পৌঁছে যাই। এখানে একটি আর্মি ক্যাম্প আছে। চেক ইন করাতে হবে। আমাদের ভ্রমনসঙ্গী এক ভাইয়ের মাধ্যমে আমরা একজন গাইড ঠিক করি। গাইডের নাম রন্ঞ্জন দাস। সে খুবই আন্তরিক। গাইড ভাড়া নির্ধারিত। প্রতিদিনের জন্য ৬০০ টাকা। গ্রুপে যান কিংবা সিঙ্গেল। ভাড়া একই । আর্মি ক্যাম্পের নির্ধারিত ফর্মে সকলের নাম ঠিকানা এন্ট্রি করে জমা দিলাম আধা ঘন্টার মধ্যেই। এখানে চেক ইন করাতে হলে বিকাল ২ টার মধ্যেই চেক ইন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে চেক ইন করতে ব্যর্থ হলে রুমা বাজারেই থেকে যেতে হবে ওইদিনের জন্য। আর রুমা বাজারে থেকে চেক আউট করাতে হলে বিকাল ৩ টার মধ্যেই করতে হবে। চেক ইনের কাজটি রন্ঞ্জন দাস করে দিয়েছিল। বগালেকে দুপুরের খাবারের জন্য ফোনে অর্ডার করে দেয় সে। এবার পালা বগালেক যাওয়ার। রুমা বাজার থেকে বগালেক পর্যন্ত চান্দের গাড়ি লোকাল ভাড়ায় পাওয়া যায়। বুকিং করার কোন ঝামেলাই এখন আর নেই। এরই মধ্যে একটি চান্দের গাড়ি পেয়ে ওঠে পড়লাম । ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা । রাস্তা এত খাড়া আর এত নিঁচুতে চলে গেছে যে গাড়ি ওপরের দিকে ওঠার সময় কিংবা নামার সময় প্রচন্ড রকমের ভয় কাজ করতেছিল আমাদের সকলের মধ্যে। দুর্বল প্রকৃতির মানুষের জন্য এটি হতে পারে মারাত্বক রকমের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।
যাক, অবশেষে রুমা থেকে বগালেক এসে পড়লাম। বগালেকের নাম শুনতাম কত। বিভিন্ন পোস্টে আর লেখায় পেয়েছি এই লেককে। সেই থেকে স্বচক্ষে দেখার কত স্বাদ পুষে রেখেছি মনের গহীনে। আজ তা পূরন হল। ভূপৃষ্ট থেকে প্রায় ১২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্হিত এই লেকের প্রেমে পড়ে যাই মুহূর্তের মধ্যেই। লেকের সামনে বড় একটা সাইনবোর্ডে লেখা “এখানে গোসল করা নিষেধ “। তারপর কিছুক্ষন ফটোগ্রাফি আর ভিডিওগ্রাফি করার পর আমরা ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই । এখানে খাবারের জন্য একটা দোকানই দেখতে পেলাম । আমাদের বাঙ্গালি গাইড রন্ঞ্জন দাস পূর্বেই যে দোকানে অর্ডার করে রেখেছিল সে দোকানই এটি। খাবারের মধ্যে ছিল ভাত, আলু ভর্তা, ডিম ভাজা আর ডাল। সবমিলিয়ে প্রতিজনের খরচ পড়েছিল ১৩০ টাকার মতো। আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ হয় তখন ২ টা ছুঁই ছুঁই। পূর্ব নির্ধারিত প্ল্যান অনুয়ায়ী আমাদেরকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রেকিং শুরু করতে হবে। হাতে আছে চারটা ঘন্টা মাত্র। একেক একেকটা সেকেন্ড এখানে অনেক দাম। সাথে রয়েছে সূর্যাস্তের পূর্বেই কেওকারাডাং এর চূড়াতে পৌঁছার এক ভয়ংকর চ্যালেন্ঞ্জ …….
পড়ুনঃ ২য় অংশ
কেওক্রাডাং এ আমাদের ভ্রমনের ভিডিও দেখতে চাইলে নীচের লিঙ্কে দেখুনঃ কেওক্রাডং ট্রেকিং ভিডিও
লেখকঃ Monzur Khan