কলকাতা টু গোয়া ভ্রমণ
ভারতের কলকাতা থেকে প্রায় ২১৫০ কি.মি. দূরে অবস্থিত ছোট্ট একটি রাজ্য গোয়া। পর্তুগিজ ভাবগাম্ভীর্যের সংমিশ্রণে গঠিত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই রাজ্য দিনকে দিন ভ্রমণপিয়াসীদের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে স্থান করে নিয়েছে।
গোয়া ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস, গোয়া ভ্রমনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। তবে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি, গোয়ার সবচেয়ে পিক সিজন। বাজেট ট্রাভেলাদের এই ক’টা দিন না যাওয়াই ভাল, কারন এই এসময় সবকিছুর খরচ কয়েকগুন বেড়ে যায়!
কখনো খুব গরম, আবার কখনো ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে, মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময়কে গোয়ার অফ-সিজন ধরা হয়। তাই এই পাঁচটা মাস বাদ দিয়ে যেকোন সময় বেরিয়ে পরুন গোয়া ভ্রমণে।
গোয়ায় যাওয়ার উপায়
কলকাতা থেকে গোয়া ট্রেন
১৮০৪৭ অমরাবতী এক্সপ্রেস- সপ্তাহে ৪ দিন ( সোম, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার) রাত ১১.২০ মিনিটে হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়ে, দীর্ঘ ৩৯ ঘন্টার যাত্রা শেষে, তৃতীয় দিন দুপুর ২.২৫ মিনিটে পৌঁছে দিবে গোয়ার মারগাও স্টেশনে।
একই ভাবে ফেরার ট্রেন – মারগাও স্টেশনে থেকে প্রতি রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার সকাল ৭টায় ছেড়ে পরদিন রাত ১১ টা বেজে ২০ মিনিটে শালিমার স্টেশনে পৌঁছে দিবে।
ভাড়ার তালিকা নিচে দেয়া হলোঃ
2S – ৪৮৫ (সেকেন্ড ক্লাস)
SL Class – ৭৮০ (স্লিপার)
AC 3tire – ২০৭০ (এসি বার্থ)
তবে প্রায় চল্লিশ ঘন্টার এই ট্রেন যাত্রা মাত্র ৩ ঘন্টায় সম্পন্ন করার জন্যে আপনি বেছে নিতে পারেন ফ্লাইট। সেক্ষেত্রে কলকাতা থেকে গোয়া এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে আপনাকে গুনতে হবে, কমপক্ষে ৮০০০-১০,০০০ রুপি!
ঢাকা থেকে গোয়া
ঢাকা থেকে ডিরেক্ট ফ্লাইটে গোয়া যাওয়ার কোন সুব্যাবস্থা না থাকলেও, কলকাতা কিংবা মুম্বাই হয়ে চলে যাওয়া যাবে গোয়া। এবং রিটার্ন টিকেটের খরচ পরবে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
হাতে সময় থাকলে এবং বাজেট ট্যুর দিতে চাইলে মৈত্রী এক্সপ্রেসে ঢাকা-কলকাতা গিয়ে, সেখান থেকে অমরাবতী এক্সপ্রেসে গোয়া যেতে পারবেন।
মৈত্রী এক্সপ্রেস প্রতি বুধ, শুক্র, শনি এবং রবিবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সকাল ৮.১৫ মিনিটে ছেড়ে গিয়ে, বিকেল ৪ টায় কলকাতার চিৎপুর স্টেশনে পৌঁছে।
ভড়া পড়বে (ট্রাভেল ট্যাক্স সহ) –
এসি কেবিন – ৩৮৫০ টাকা
এসি চেয়ার – ২৭৩৫ টাকা
একইভাবে প্রতি সোম, মঙ্গল, শুক্র ও শনিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে চিৎপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে, বিকেল ৪ টা বেজে ৫ মিনিটে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছে।
ভাড়া পড়বে –
এসি কেবিন – ২০১৫ রুপি
এসি চেয়ার – ১৩৪৫ রুপি
গোয়ায় দেখার কি কি আছে
গোয়া রাজ্যটি দুই ভাগে বিভক্ত, উত্তর গোয়া এবং দক্ষিণ গোয়া।
দক্ষিণ গোয়া যাওয়ার জন্যে, রেলস্টেশন থেকে বের হয়ে লোকাল বাস কিংবা রিকশা করে মারগাও বাস টার্মিনালে যেতে হবে। মারগাও টার্মিনাল থেকে ৩০ মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যাবে দক্ষিণ গোয়া। মাথাপিছু খরচ পরবে ৪০-৫০ রুপি।
উত্তর গোয়া যাওয়ার জন্যে, মারগাও টার্মিনাল থেকে সরকারি বাসে পানাজি টার্মিনালে গিয়ে, সেখান থেকে বাস চেঞ্জ করেই সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে উত্তর গোয়া তে। মারগাও রেলস্টেশন থেকে লাগেজ সহ উত্তর গোয়াতে পৌঁছাতে মাথাপিছু মোট খরচ পরবে ১০০-১৫০ রুপি, আর সময় লাগবে প্রায় ২ ঘন্টা। তবে ৪-৫ জনের গ্রুপ থাকলে, মারগাও থেকে সরাসরি ট্যাক্সি নিয়েও উত্তর গোয়া যাওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে খরচ পরবে ১০০০ – ১৫০০ রুপি, সময় লাগবে ১ ঘন্টার মত।
৩৫০-৪০০ রুপিতে সারাদিনের জন্যে স্কুটি ভাড়া পাওয়া যায়। গোয়াতে তেলের দাম অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় কম, প্রতিদিন ১৫০-২০০ রুপি তেল খরচ করে সারাদিন সাইট সিয়িং করতে পারবেন স্কুটি ভাড়া নিয়ে। আর পার্কিং এ খরচ পরবে ১০০ রুপির মত। সারাদিনের জন্যে গাড়ি রিজার্ভ করেও ঘুরা যায়। সেক্ষেত্রে খরচ পরবে ২৫০০-৩০০০ রুপি।
পুরো শহরজুড়েই প্রচুর বার কাম রেস্টুরেন্ট, ক্যাসিনো, ডিসকো, পাব এর ছাড়াছাড়ি, এদের মধ্যে অনেকেগুলোই এমনকি সারা রাত খোলা থাকে।গোয়ার প্রায় নব্বই ভাগ হোটেল/রিসোর্টে সাধারণত সুইমিংপুল আর বার থাকেই।
মান্ডোবি রিভার ক্রুজ জার্নি করতে পারবেন সুবিধাভেদে ৬০০-১৫০০ রুপির মধ্যে।
উত্তর বা দক্ষিণ দুইদিকেই প্রচুর সমুদ্র সৈকত আছে। সকল সমুদ্র সৈকতেই রয়েছে ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা
ওয়াটার স্পোর্টস কিংবা ফান এক্টিভিটিস গুলোর খরচ নিম্নরূপ –
বানানা রাইড – ৩৫০ রুপি
স্পিড বোট – ২৫০ রুপি
ডলফিন ট্রিপ – ৩০০ রুপি
জেট স্কি – ৫০০ রুপি
প্যারাসেইলিং – ৯০০ রুপি
কায়াকিং – ১০০০ রুপি
স্কুবা ডাইভিং – ২২০০ রুপি
প্যাকেজের মাধ্যমে ওয়াটার এক্টিভিটিস গুলো করলে খরচ কিছুটা কম পরবে।
চাইলে সরকারি বাসে করেও ঘুরে দেখা যাবে। গোয়াতে ho ho bus নামক ছাদবিহীন একটি দোতলা ট্যুরিস্ট বাস আছে, যেটাতে করে পুরো গোয়ার বেশকিছু দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করা যায়। যার খরচ পরবে একদিনের জন্যে ৩০০ রুপি এবং দুইদিন ৫০০ রুপি। এর সঙ্গে আরো ৩৫০ রুপি যুক্ত করে, রিভার ক্রুজ সাফারিও নিতে পারবেন।
উত্তর গোয়া
সাধারণত ইয়াং জেনারেশন তথা নাইট লাইফ কিংবা পার্টি প্রিয় মানুষদের প্রথম পছন্দ উত্তর গোয়া।
উত্তর গোয়ার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের নাম –
ক্যালাঙ্গুটে বীচ
আঞ্জুনা বীচ
চাপোরা ফোর্ট
বাগা বীচ
ক্যান্ডোলিম বীচ
টিটো’স লেন
আগুয়াডা ফোর্ট
আগুয়াডা ফোর্ট জেল মিউজিয়াম
লোয়ার আগুয়েডা ফোর্ট
ভাগাতোর বীচ
পাঞ্জিম চার্চ
মরজিম বীচ
মরজিম স্যান্ড বার
সিঙ্কুয়েরিম বীচ
প্যারা দি কোকোনাট ট্রি রোড
ব্যাসিলিকা অব বোম জেসাস চার্চ
লেডি অব ইমাকুলেট কনসেপশন চার্চ
ক্রুজ পার্টি/ক্যাসিনো
তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বীচ হলো, ক্যালাঙ্গুটে বীচ আর বাগা বীচ। এই দুই বীচ সংলগ্ন হোটেল কিংবা রিসোর্টে থাকলে সব ট্যুরিস্ট স্পট ঘুরে দেখাও সহজ হবে।
শপিং করতে চাইলে আঞ্জুনা ফ্লি মার্কেট, মাপুসা মার্কেট, বাগা মার্কেট, ক্যালাঙ্গুটে মার্কেট, পানাজি মিউনিসিপ্যাল মার্কেট এ ঘুরে ঘুরে শপিং এর কাজ টা সেরে নেয়া যায়।
ক্যালাঙ্গুটে বাজার থেকে বাসে করে পানাজি, সেখান থেকে বাসে মারগাও, সেখান থেকে ৩০ মিনিটে দক্ষিণ গোয়া। মোট সময় লাগবে ২-২.৩০ ঘন্টা, মাথাপিছু খরচ ১৫০-২০০ রুপি।
দক্ষিণ গোয়া
যারা নিরিবিলিতে কয়েকটা দিন নিজের মত কাটাতে পছন্দ করেন, তাদের পছন্দ দক্ষিণ গোয়া। বিশটিরও অধিক সমুদ্র সৈকত রয়েছে এখানে, তার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু বীচ এবং দর্শনীয় স্থান সমূহের নাম নিচে দেয়া হলো –
কোলভা বীচ
পালোলেম বীচ
আগোন্ডা বীচ
কাবো দে রামা ফোর্ট
পেবেল বীচ
কোলা বীচ
নেত্রভ্যালী ন্যাশনাল পার্ক
সাভারি ওয়াটার ফল
বামোনবুড়ো ওয়াটার ফল
সে ক্যাথেড্রাল চার্চ
সেইন্ট কাজেতান চার্চ
লেডি অব রেমিডিওস চার্চ
ডোনা পাওলা
শ্রী মাঙ্গুয়েশ টেম্পল
পানাজি বীচ
মান্ডোবি রিভার ক্রুজ
দক্ষিণ গোয়ার জনপ্রিয় বীচ হলো পালোলেম বীচ আর কোলভা বীচ।
পালোলেম বীচ থেকে মাথাপিছু ৬০০ রুপি খরচ বোট রাইড করে ঘুরে আসা যাবে বাটারফ্লাই বীচ, হানিমুন বীচ, মানকি আইল্যান্ড, টরটয়েজ রক ও ডলফিন পয়েন্ট।
প্যাকেজ নিতে না চাইলে স্কুটি, লোকাল ট্রান্সপোর্ট কিংবা গাড়ি ভাড়া করে আশেপাশের স্পট গুলো, যেমন- আগোন্ডা বীচ, কোলা বীচ, কোলা বীচ সংলগ্ন ব্লু লেগুন, কোলভা বীচ ঘুরে দেখা যাবে।
দক্ষিণ গোয়ার আরেকটি অন্যতম ফেভারিট ট্যুরিস্ট স্পট হলো দুধসাগর ওয়াটার ফল, এটা দেখার জন্যে মাথাপিছু প্রায় ১০০০ রুপি খরচ হয় এবং একটা গোটা দিন বরাদ্দ রাখতে হয়। তবে যারা ট্রেনে করে মরগাও আসেন তারা চাইলে এটা এভোয়েড করতে পারেন, কারন আসা-যাওয়ার পথে, ট্রেন থেকেই এর অনেক সুন্দর ভিউ উপভোগ করা যাবে।
থাকবেন কোথায়
রাজধানি পানাজি গোয়ায় থাকার সবচেয়ে সুবিধাজনক জায়গা, কারন এখান থেকে উত্তর-দক্ষিণ সব ট্যুরিস্ট স্পটই খুব কাছে হয়। তবে পানাজি অবশ্যই বাজেট ট্রাভেলারদের জন্যে ভাল হবেনা।
ক্যালাঙ্গুটে, ক্যান্ডোলিম কিংবা বাগা বীচ বাজেট ট্রাভেলারদের থাকার জন্যে বেস্ট জায়গা। পরিবার পরিজন নিয়ে কোলাহল মুক্ত জায়গায় থাকতে চাইলে আপনি বেছে নিতে পারেন দক্ষিণ গোয়া কে, কারন উত্তরে জনসমাগম অনেক বেশি।
সৈকতের উপর অবস্থিত হোটেল বা রিসোর্টের খরচ ২৫০০ রুপি থেকে শুরু করে ২৫,০০০ রুপি পর্যন্ত শুরু হয়ে থাকে। সৈকত সংলগ্ন মেইন রাস্তার ধারের হোটেলে গুলোর ভাড়া পরবে ৬০০-১০০০ রুপি (নন এসি) এবং ১২০০-১৫০০ রুপি (এসি)। হোস্টেলে মাথাপিছু ১৫০-২০০ খরচে ৫-৬ জন এক রুমে থাকা যাবে।
বিভিন্ন সার্ভিস এপার্টমেন্টস কিংবা পেয়িং গেস্ট হয়ে থাকার সুযোগও আছে, সেক্ষেত্রেও থাকার খরচ কিছুটা কম পরবে। ব্যাকপ্যাকার পান্ডা তে এসি এবং নন এসি রূমের ভাড়া গুনতে হবে যথাক্রমে ৪০০ ও ৩০০ রুপি।
খাবেন কোথায়
খাওয়ার খরচ নির্ভর করে থাকার জায়গার উপর। যেমন আরামগুল, মরজিম, আশ্বিন, ম্যানড্রীম প্রভৃতি বীচ সংলগ্ন রিসোর্ট বা হোটেলে বিদেশি পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকায়, এসব বীচ সংলগ্ন রেস্টুরেন্টে খাওয়ার খরচও অনেক বেশি। অপরদিকে ক্যালাঙ্গুটে, ক্যন্ডোলিম কিংবা বাগা বীচে সাধারণত দেশি পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকে, তাই এসব জায়গায় সবকিছুর দামও একটু সাশ্রয়ী।
ইন্ডিয়ান, চাইনিজ কিংবা সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার খেলে মাথাপিছু দৈনিক ৫০০ রুপি আর গোয়ার অথেনটিক গোয়ানথালি অথবা মালভানি কুইজিন খেতে চাইলে দৈনিক ৭০০-৮০০ রুপি খরচ হবে। বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য সহজ অপশন – প্রতিবেলা ভেজ থালি ৮০ রুপি, ননভেজ থালি ১৫০ রুপি।
গোয়া ভ্রমণের খরচ
যে কোন ভ্রমণের খরচ নির্ভর করে, কিভাবে আপনি আপনার ভ্রমণটাকে উপভোগ করতে চান তার উপর। হিসেবের সুবিধার্থে এখানে কলকাতা থেকে গোয়ার রিটার্ন জার্নিসহ, ২ জনের (৪ রাত, ৫ দিনের) একটা বাজেট ট্রিপের খরচ দেয়া হলোঃ
ট্রেন (স্লিপার) – (৭৮০+৭৮০)*২ = ৩১২০ রুপি
ট্রেনে খাওয়া – (৩০০ +৩০০)*২ = ১২০০ রুপি
ঘুরাঘুরি (স্কুটি) – ৪০০ *৪ = ১৬০০ রুপি
তেল + পার্কিং – (২০০ + ১০০)*৪ = ১২০০ রুপি
হোটেল (এসি কাপল) – ১০০০*৪ = ৪০০০ রুপি
খাওয়া – (৫০০*৪)*২ = ৪০০০ রুপি
স্টেশন-উত্তর-দক্ষিন গোয়া যাতায়াত = (২০০+২০০)*২ = ৮০০ রুপি
টোটাল = ১৫,৯২০ রুপি
বাড়তি কোন ফান এক্টিভিটিস করতে চাইলে সেই খরচ যোগ করে নিবেন। ঢাকা থেকে গেলে এর সাথে ঢাকা-কলকাতা যাওয়ার খরচ অবশ্যই যোগ করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, সিজন অনুযায়ী খরচ কম-বেশি হতে পারে!
ভ্রমণ টিপস
- যারা আগে থেকেই হোটেল/রিসোর্ট বুক করে যেতে চান, তারা অবশ্যই বিভিন্ন সাইট কম্পেয়ার করে বুকিং কনফার্ম করবেন।
- গোয়াতে থাকার জায়গার অভাব নেই, তাই সিজন হোক বা অফ সিজন, গোয়া পৌঁছেও হোটেল ঠিক করা যাবে।
- সমুদ্রের বেশি গভীরে যেতে পারবেন না, সৈকতের ওয়াচ টাওয়ারের সামনেই গোসল করতে হবে।
- সপ্তাহান্তে সবকিছুর খরচ বেড়ে যায়, কারন এসময় পর্যটকের আনাগোনা বেশি। তাই বাজেট ট্রাভেলারদের জন্যে উইকডেইজে ভ্রমণ করলে সুবিধা হবে।
- অফ সিজনে সমস্ত খরচের উপর ৩০-৪০% ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে, কিন্তু তখন অনেক ট্যুরিস্ট স্পট বন্ধও থাকবে।
সতর্কতা
- যেখানে সেখানে ধুমপান করতে পারবেন না। ধুমপানের জন্যে নির্ধারিত জায়গা খুঁজে বের করে নিতে হবে।
- মেয়েদের উদ্দেশ্য অশালীন মন্তব্য কিংবা যেকোন ধরনের খারাপ আচরণের পরিনাম হতে পারে জরিমানা অথবা জেল!
- একটু পরপরই সাজানো আছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ডাস্টবিন, ময়লা আবর্জনা অবশ্যই নির্দিষ্ট বিন এ ফেলতে হবে।